রাত্রিকালীন


ধোঁয়া মিশে যায় ধোঁয়ায়,
রাত্রি নিবিড় হয়ে আসে,
হাল্কা শীতের পরশ,
বিছানায় লেপ, আর পাশবালিশ পাশে,
তুই ঘুমিয়ে পড়েছিস কিনা জানিনা,
চেনা সংখ্যা পিষ্ট হয় দূরাভাষে!
পড়া কবিতাই পড়ে যাই আবার,
মস্তিষ্কে চেনা স্মৃতিগুলো ভাসে।

এখন কাজের দিন,
তবু অবকাশ খুঁজে নেওয়ার সময়,
অস্তিত্ব ভুলুন্ঠিত,
বাসরশয্যায় তন্বী ধর্ষিত হয়!
গৃহপালিতরা মাথা নিচু করে থাকে।

উত্তাল এক দামাল যুবক খুঁজে নিতে আসে অধিকার,
ব্যাভিচার, তা সমাজের চোখে।
আমি কিছু দিতে চাই ওকে।
কোনকিছুই অদেও নেই,
তাই খানাখন্দে জল জমে থাকে,
জোব চার্নক সমাধিত,
তার নিজের শহর কলকাতার পাঁকে!
ডাকে আর আসে না কোন নীল খাম,
নীল এখন ধোঁয়ায় মিশে থাকে,
আমার উৎপন্ন ধোঁয়া ছুঁয়ে যায় তোর ঠোঁটটাকে.....

মধ্যরাতে, সাইরেন ডেকে যায়,
গণতান্ত্রিক আস্কারায়,
শহরজাতরা নিরাপদে ঘুমিয়ে থাকে।
জেগে থাকে চোখ, গান, আর দূরাভাষ,
ইথারতরঙ্গে ঐচ্ছিক রূপকথা আঁকে.......

১৪/১২/২০১০

Comments

  1. kichu jaiga oshabik.....but tor kobitai kichu word er use aktu koma...tahole lekha ta khule jabe...

    ReplyDelete

Post a Comment