তিন কন্যা

আমি তোমায় ভালবেসে আমি তোমার ফাঁদে ফেঁসে দীক্ষা নিয়েছি এ যন্ত্রণার তোর তুকতাকে আর পাই নাকো ভয় হোক বোধোদয় ভালবাসা এক বিচ্ছিরি খেলা ভাসে বেহুলার কলার ভেলা লক্ষীন্দর উল্টে পটাং স্বামী হওয়ার তবু কী র‍্যালা!

বোন ছিল বটে দুঃসলা তার একশোটা ভাই আস্ত কসাই বলত লোকে মানত না সে বলত শুধু আমার যে ভাই বছর বছর রাখি বেঁধে যাই!

আর ছিল এক রাইকিশোরী অল্প বয়সে পেকে হাতেখড়ি শ্যামনাগরের পথের পানে চেয়ে চেয়ে তার চোখ পড়ে না স্নান করে না ভাত খায়না সেই শ্যাম তোকে গ্যালো ছেড়ে স্বার্থলোভে রাজমুকুটের তোদের নিয়ে গল্পগাঁথা শ্যামের কথাই বেশী লেখা তুই তবু সেই রাইকিশোরী স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে রইলি পড়ে পথের ধারে শ্যামনাগরের আশায় আশায় চোখ পড়ে না স্নান করে না ভাত খায়না দিন কেটে যায়.....

বল দেখি রাই কার বিহনে ঘর ছাড়িয়ে পর হারিয়ে পথের ধূলায় লুটিয়ে পড়ে সবর্স্ব খুইয়ে এলি?

দুঃসলা তুই কার হাত ধরে বছর বছর বাঁধতি রাখি যেই দিন তোর পরিবার গেল রাজ্য গেল ঘরবার গেল বলত সেদিন একটা ভাইও বোনের কথা ভাবল নাকি?
সিংহাসনের মত্ত নেশায় কোথায় ছিঁড়ে পড়ল রাখি??

ওরে বেহুলা তোর কথা আর আলাদা করে কীই বা বলি তুই ছিলি মহাকাব্য স্বরূপ পুরুষের হাতে প্যারডি হলি!!

তবুও আজও বেহুলা বাঁচে হোগলা বনে পাতার মাঝে রাইকিশোরী খুঁজলে পাবে খাস এ শহর কলকাতাতে দুঃসলা আজও ঘরে ঘরে দেশ জুড়ে রাখি উৎসব চলে তবুও ওদের হাতটা কালো মনটা কালো পাল্টায় না
পুরুষ তুমি থাকবে পুরুষ মানুষ তো আর হতে পারবে না!!

১৫/০৩/২০০৮

Comments